আমরা সকলেই মোবাইল ব্যাবহার করি।অর মোবাইলের একটি সমস্য হলো ব্যাটারি চার্জ ঘন ঘন শেষ হয়ে যায়। ফোন ব্যবহার করলেন কি করলেন না চার্জ শেষ। সকাল বিকাল চার্জ দিতে হচ্ছে ফোন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার কয়েক ঘন্টা অন্তর চার্জ দিতে লাগে। কি ভাবে মোবাইল ব্যাটারির চার্জ বেশি সময় ধরে থাকবে।এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যাক।
মোবাইল চার্জ দেওয়ার সময় যা খেয়াল রাখবেন ।
চার্জ দেওয়ার সময় মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করা উচিত নয়।ফুল চার্জ হয়ে যাওয়ার পরও ফোন কানেক্টেড থাকে চার্জারের সঙ্গে। এটিও ঠিক নয়। তবে এই সময় মনে রাখবেন মোবাইল ফুল চার্জ হয়ে গেলে খুলে নিতে হব। তবে কত শতাংশ মোবাইল চার্জ দেওয়া ভালো। মোবাইল চার্জ দেওয়ার সময় নজর রাখুন যাতে ৯০-৯৮ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে চার্জার থেকে মোবাইল খুলে দিলে ভালো হয়।
এরপর মোবাইল কত শতাংশ চার্জ শেষ হলে চার্জে বসাবেন।
অনেকেই আবার কি করে ফোন ব্যবহার করতে করতে চার্জ একেবারে শূন্য করে ফেলেন। এতেই ব্যাটারির উপর চাপ বাড়ে। তাই ২০ শতাংশে চার্জ নেমে এলেই মোবাইল চার্জে বসিয়ে দিলে ভালো। একেবারে চার্জ যেন শেষ না হয় সেই দিকে নজর রাখুন।
মোবাইল চার্জ দিয়ে মাঝে খুলে নেওয়া ঠিক নয়। চেষ্টা করুন একবার চার্জার জুড়লে ফুল চার্জ দিতে। কাজকর্ম বুঝে ফোন চার্জে বসান।
ব্যাটারিকে দীর্ঘজীবী কি ভাবে করবেন?
ফোনের পাওয়ার সেভিং মোড -
ফোনের পাওয়ার সেভিং মোড অন রাখতে পারেন। এতে বেশি চার্জ খায় না ফোন।
ব্রাইটনেস অটো করুন বা কমান :-
অনেকেই ফুল ব্রাইটনেস দিয়ে মোবাইল চালাছে । ব্রাইটনেস কম করে ব্যবহার করলে ভালো। এত আলো জোগাতে গিয়ে চার্জ ফুরোয় ব্যাটারির ।
ব্যাকগ্রাউন্ড রানিং অ্যাপ - চুপিসাড়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে কত যে অ্যাপ চলে, তা অনেকেই খবর রাখেন না। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো অ্যাপগুলি তাদের অন্যতম। তাই সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা রেস্ট্রিক্ট করে দিলে ভালো হয়।
লোকেশন, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই - এইগুলি কাজে লাগছে ? এই গুলো যখন দরকার তখন ব্যবহার করবেন। আজরা এই গুলো সব সময় চালু করে রাখবেনা।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি এপ্লাই করার আগে ভালো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিন।