ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম কি ভাবে করবেন।
টিকটকের জনপ্রিয়তার পরে কিন্তু ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের প্লাটফর্মে শর্টস ভিডিও ও রিলসের জন্য আলাদাভাবে ফিচার যুক্ত করেছে। অর এই ভিডিও গুলো তৈরী করে অনেকে টাকা ইনকাম করা যায়।
তবে রিলিস ভিডিও কোন গুলো।
রিলস ভিডিওর দৈর্ঘ্য হতে হবে সর্বোচ্চ ৯০ সেকেন্ড এবং ভিডিও হতে হবে ভার্টিক্যাল বা লম্বালম্বি। তবে রিলিস ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে সেগুলো মেনে চলতে হবে।ছোট দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওগুলোকে ইউটিউবে শর্টস এবং ফেসবুকে রিলস নামে পরিচিত।
অনেক মানুষে রিলস দেখতে পছন্দ করেন। রিলস ভিডিও দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাচ্ছে বুঝতে পারেনা।যে কোনো বিষয়ের মূল সারমর্ম উঠে আসে এই ভিডিওগুলো থেকে। তাছাড়া খুব সহজেই ভিডিওতে কি বুঝাতে চেয়েছেন খুব সহজেই বুঝতে পারা যায়।
রিলস বানানো যেমন সহজ, তেমনি নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করে হয়। দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাবলী নিয়েই যে কেউ রিলিস ভিডিও তৈরি করে ইনকাম রতে পারেন ফেসবুক রিলস থেকে।
রিলস ভিডিও থেকে কি ভাবে ইনকাম হয় ?
রিলস ভিডিও আপলোড করে রিলস বোনাস প্রোগ্রাম নামের একটি নতুন ফিচার এনেছিল ফেসবুক। ভিডিও ভিউ, এনগেজমেন্টস, শেয়ারসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে ফেসবুকের বেঁধে দেয়া লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে রিলস ক্রিয়েটররা এই বোনাসটি পেতেন পারেন।
ফেসবুকের এই বোনাস প্রোগ্রাম হলো 'ফেসবুক ইনভাইট অনলি' অফার। অর্থাৎ ফেসবুক ক্রিয়েটরদের পেজ বা প্রফাইল কতটা পারফর্ম করছে, ভিডিও কোয়ালিটি ও দর্শকের আগ্রহের ওপর নির্ভর করে ক্রিয়েটরকে বোনাস অফার করতো।
এছাড়াও কয়েকটি উপায়ে রিলস দিয়ে ফেসবুকের থেকে আয় করে থাকেন। ফেসবুকে ক্রিয়েটরদের এই রিলসগুলোতে স্টার দিতে পারেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা। ক্রিয়েটররা পরবর্তীতে এসব স্টার ফেসবুকের কাছে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করেন।
রিলস ট্যাব থেকে কোনো রিলস চালু করলে, ভিডিও চালু হওয়ার আগে যে বিজ্ঞাপনটি দেখা যায়, সেটি ওভার লে এড। ভালো পেজগুলোতে এই বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই মুখিয়ে থাকেন। এছাড়া একটি রিলস দেখা শেষে স্ক্রল করার পর আরেকটি রিলস চালু হওয়ার আগে ২ রিলসের মাঝে যে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেটি পোস্ট-লুপ এড। এর মাধ্যমে ফেসবুকের মনিটেইজেশন থেকে আয় করা যায়।
এছাড়া ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য অন্ততপক্ষে ৫ হাজার ফলোয়ার বিশিষ্ট পেজ বা প্রফেশনাল মোডের ফেসবুক আইডি প্রয়োজন হয় । এই সময় পেজ বা প্রফাইলে নিজের বানানো অন্ততপক্ষে ৫ টি ভিডিও আপ্লোড করতে হবে।অন্য কারো ভিডিও কপি বা অন্যের ভিডিও দিয়ে কোনোভাবেই মনিটাইজেশন করা যাচ্ছে না। তাছাড়া শেষ ২ মাসে ৬০ হাজার মিনিট ওয়াচটাইম থাকতে হবে পেজে। তার পর মনিটাইজেশন অন করতে পারবেন।
এসব শর্ত পূরণ হওয়ার পর রিলস মনিটাইজেশন করার জন্য আবেদন করা যাবে। ফেসবুক সেই পেজ ও পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি এবং কনটেন্ট মনিটাইজেশন পলিসি রিভিউ করবে। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে অথবা ইমেইলের মাধ্যমে মনিটাইজেশনের ব্যাপারটি জানিয়ে দিবে ফেসবুক
এইভাবে আবেদন করার পর একবার অনুমোদন পেয়ে গেলে মোবাইল দিয়ে আপ্লোড দেয়া রিলস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ইনকাম করতে পারবেন।